- সম্পর্কে দুটি কথা।
যুব মহিলালীগের ঢাকা মহানগরের সাধারন সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ঝুমা তার ছোট বোন কুয়াসা, এক সময় আমার মডেলিং ক্লাসের ছাত্রীছিল এবং বাংলাদেশ মডেল ক্লাবের সদস্য ছিল। ঝুমা আমাকে বড় ভায়েরমত সম্মান করেন এবং তার পরিবারের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক তার মা আমাকে সন্তানের তুল্য ভালবাসেন। ২০০৭ সালে হঠাৎ একদিন ঝুমা, নবাবপুর আমার ভাড়া বাসায় উপস্থিত হয়ে আমাকে বলল,-চলেন আপনাকে ধানমণ্ডি নিয়ে যাবো জরুরী একটি বিশেষ কাজ আছে। আমাকে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ না দিয়ে ঝটফট রওনা হওয়ার তাগিদ দিতে লাগলো আর বলল,- আমি সাথে রিক্সা নিয়ে এসেছি, এখনি এই অবস্থায় চলেন। আমি ও কোন প্রশ্ন না করে রিক্সায় উঠলাম । ধানমণ্ডি প্রতিটি গলির মুখে র্যাব পুলিশ করা নিরাপত্তা শহর! যেনো প্রানহীন শহরে পরিণিত হয়েছে । ধানমণ্ডি পৌছনোর পর ঝুমাকে জিজ্ঞাস করলাম কোথায় যাচ্ছি? ঝুমা বলল নেত্রীর বাসায়! নেত্রীর সাথে আপনাকে সাক্ষাৎ করাবো । আমি ঝুমার কথা শুনে, আকাশ থেকে পড়লাম। আমি অভাগ হলাম! আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামীলীগের সভানেত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করবো? কি সুভাগ্য আমার!এর মধ্যে নেতৃর বাসার সামনে এসে গেছি। নেত্রীর বাসার গেটে দাঁড়ানো নিরাপত্তা প্রহরী আমাদের দেখে জিজ্ঞাসা করল,-আপনাদের সাক্ষাতের অনুমুতি আছে? প্রতি উত্তরে ঝমা বলল,- হ্যা আছে, নেত্রী আমকে আসতে বলেছেন। ঝুমা বলল আমাদের উপস্থিতি নেত্রীকে অবগত করুন। কিন্তু নিরাপত্তা প্রহরী অন্য কোন চেষ্টা না করে সরাসরি আমাদের ভিতরে জেতে বলল,-আপনারা ভিতরে জান জিজ্ঞাস করতে হবেনা। নেত্রীর অফিস কক্ষে নিয়ে গেল ঝমা। আমি সম দৃষ্টি অনুসন্ধানরত, আমার কাছে মনে হচ্ছে বিস্ময়কর ঘটনা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার সামনে আমি নিজেকে প্রশ্ন করছি? নেত্রী চেয়ারে বসে আছে খুব সাধান মানুষের ন্যায় মনেই হবেনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামীলীগের সভানেত্রী । শ্রদ্ধার সাথে সম্মান প্রদর্শন করলাম। আমাদের বলল তোমরা কেমন আছো? মনে হল কত আপন জন আমরা অনেক দিনের চিনা তার জিংগাসা সুলভ ব্যবহার আকর্ষণের মাত্রা আমার হৃদয় আনন্দিত করল। প্রতি উত্তরে,-জি ভাল আছি। তার পর ঝুমা আমাকে দেখিয়ে বলল নেত্রী এই আমার বড় ভাই জার কথা আপনাকে বলেছি । নেত্রী আমাকে বসতে বলল, আমি তার সামনে বসলাম । ঝুমা দাঁড়ানো । নেত্রী আমাকে প্রশ্ন করল তুমি দল করনা কেন?
-তুমি তো নিজস্ব ছেলে? তার কথা শুনে আমি অভাগ হলাম, এতো আন্তরিকগতা মাতৃসুলভ ব্যবহার। নিজস্ব ছেলে! যে শব্দ ব্যবহার করতেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তার কাছে প্রতিটি মানুষ ছিল সন্তানতুল্য আর তার সুযোগ্য কন্যার কণ্ঠে একি বানী!
-কিন্তু আমি তাকে নিরাস করারমত, ‘উত্তরে বললাম, আমার রাজনৈতিক ভাল লাগে না।
-নেত্রী অতিসাধারণ ভাবেই প্রশ্ন করলেন,- কেন?
-আসলে রাজনৈতিক আমার কাছে জটিল মনে হয়। আমি বুজিনা । নেত্রী আমার মনের গবীররতা অনুভপ করলেন, ইচ্ছা শক্তি ও সাধনা কর্মক্ষেত্র উৎসাহর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বললেন, -তাহলে তোমার যেটা ভাল লাগে সেইটা কর তুমিতো সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি, শিক্ষক, সংগঠক অনেক জানা সুনা তোমার। তুমি “জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট” কর।
আমি নেত্রীর কথাতে বললাম, জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট গ্রুপ বিভক্ত এক গ্রুপ অন্য গ্রুপকে মানতে পারে না এবং সমনয়ের অভাপ তাই আমার কাজ করা অসম্ভব। একজনের পক্ষে কাজ করবো অন্য পক্ষের চোখে খারাপ হবো এই বিষয় ভাবতে পারি না।
নেত্রী আমার কথা মনোযোগ সহকারে শ্রবন করলেন এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বার প্রান্তে পৌঁছালেন। তার পর আমাকে পরামর্শ দিলেন,-তুমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আদর্শ নিয়ে একটি সংগঠন কর, আমি জানি, তুমি পারবে, এই বিশ্বাস থেকে বলছি তুমি নিজে একটি কমিটি গঠন কর এবং তোমার নেতৃত্বে সংগঠন পরিচালিত হবে। কারো কাছে জেতে হবে না। তোমার ইচ্ছামত কমিটি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কমিটি কমিটি গঠন করে আলমগীর কুমকুম অথবা ৩২নং ধানমণ্ডি জমা দিয়ে তুমি কাজ করতে থাক । আর যা করার আমি করবো তোমাকে কোন পরামর্শ দেওয়ার হলে আমি দিবো।
সেই দিন নেত্রীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম,-জি নেত্রী আমি খুব দ্রুত কমিটি গঠন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু করবো। যে নো আপনার সম্মান রাখতে পারি এবং আপনার উৎসাহ অনুপ্রেরণাই আমার শক্তি এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করবো।
সেই দিন অনেক বড় দায়িত্ব নেত্রী আমাকে দিলেন। এতো বড় সুভাগ্য কয়জনের ভাগ্যে জুটে। সময় নষ্ট না করে তার পর থেকেই সংগঠন গঠনের কাজে হাত দেই । ৯১ নবাবপুর রোড যেখানে সাবেক আওয়ামীলীগের অফিস ছিল । আওয়ামীলীগ নেতা জুয়েল ভাইয়ের সহযোগিতা নিয়ে নতুন সংগঠন, গঠনের কাজ শুরু করি। আমার সাবেক ছাত্র ছাত্রি ও আমার অন্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নিয়ে প্রায় ৫০ জনেরমত লোক নিয়ে গঠন করি ‘জাতির পিতা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ নামে নতুন সংগঠন। এই সংগঠন ছয় মাস ঠিকথাক সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি কিন্তু ১/১১ সরকারের র্যাব পুলিশ প্রশাসক পরবর্তী আমাদের ৯১ নবাবপুর রোড অবস্থান করতে বা কোন প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিবেনা বলে হুঁশিয়ার করলেন আর বললেন উপরের নির্দেশ আছে আমাদের কিছু করার নেই, আপনেরা নির্দেশ অমান্য করলে যাকে পাবো তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাবো। তার পরও একদিন নৃত্যের ক্লাস চলছে গেটের সামনে দুই গাড়ি আর্মি পুলিশ এসে তল্লাসি শুরু করল। ছেলেরা সাদ, দেয়াল টপকিয়ে দ্রুত পালালো কিন্তু মেয়ে শিল্পিরা পালাতে পারলনা সেই বার শুধু বকা আর ভঁয় দেখিয়ে ভিতর থেকে বাহির করে দিল। তার কিছু দিন পর সিভিল পুলিশ এসে তিন জন সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তারপর সকলের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয় সংগঠনের বিভিন্ন সদস্য ও অভিবাবকদের চাপে পরবর্তী বাধ্য হোই সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করতে। তখন সারা দেশের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। অনেক সংগঠন জুকি নিয়ে সাংগঠনিক কাজ করলেও আমাদের সংগঠন সেই জুকি নিতে পারে নাই কারন আমাদের বেশির ভাগ সদস্য সাংস্কৃতিক মনা, সাংস্কৃতিকে ভালবাসেন কিন্তু তাদের মধ্যে রাজনৈতিক লোভছিলনা। পরবর্তী আমি ব্যাক্তিগত ভাবে জাতির পিতাকে নিয়ে গবেষণা করে আসছি তার পরও আমার মধ্যে শূন্যতা বিরাজ করছিল, একটি সংগঠনের আর প্রতি মুহূর্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রেরণা আমাকে জাগিয়ে তুলে জাতির পিতার আদর্শ আমাকে ছুয়ে জায়, আমি যেনো কোন অবস্থায় সংগঠন করা থেকে বিরত না থাকি। বিবেক আমাকে বলে সৌরভ ব্যবসা করছ ভাল কিন্তু দেশের মানুষের জন্য কিছু কর। তুমি সচেতন তোমার দায়িত্বভোধ আছে এই দেশের মানুষের জন্য কিছু করার, জাতির পিতার মহৎ আদর্শের সৈনিক তুমি, আবার শুরু কর। আবার যাত্রা ২০১৪ সাল বীরমুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুল ইসলাম সাহেবকে সংগঠন বিষয়ে অবগত করলে সে আমাকে সমর্থন জানালো এবং বলল আমি সর্বস্ব সহযোগিতা করবো। আপনি আবার শুরু করুন । তিন চার মাস টেবিল আলোচনা পর ২০১৫ ১০শে এপ্রিল এর নতুন সংকরন নাম দেওয়া হয় “বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ” ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে কমিটি, ২৩/৭/২০১৫ তারিখ নাম করন তালিকা ভুক্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এবং ৩২নং ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাষ্টে জমা দেওয়া হয়। এই সংগঠন সম্পন্ন সমাজ সেবা ও জাতির পিতাকে নিয়ে গবেষণা সমাজ কল্যাণ মূলক জাতীয় সংগঠন। রাজনৈতিক বা প্রতিহিংসা মূলক কোন কর্মসুচি, বক্তব্য, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস করবো না । সকলের মাঝে জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত করাই মুল লক্ষ্য।
বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ এর রয়েছে নিজস্ব ১০ পৃষ্টার ওয়েব সাইট এবং যুগউপযুগি পরিপূর্ণ গঠনতন্ত্র, তথ্য ব্যাংক, অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা, মেডিক্যাল টিম,
সাংগঠনিক কার্যক্রমঃ- ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রিয় কমিটি
৫১ সদস্য বিশিষ্ট চারটি মহানগর কমিটি
৩১ সদস্য বিশিষ্ট থানা কমিটি এবং ২০০টি থানা কমিটি ৪০টি জেলা কমিটির কাজ চলছে ।
বাস্তবায়নঃ- ৪৫ বছরও হলেও আমরা তৈরি করেছি জাতির পিতার উপর প্রেরণা সঙ্গীত এবং জাতীয় শোক সঙ্গীত, জাতীয়তাবাদ জাতীয় প্রেরণা সঙ্গীত, জাতির পিতার উপর গবেষণা মূলক পোস্টার, তথ্যচিত্র, প্রবন্ধ, আলোচনা সভা, জাতীয় সকল অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে এই সংগঠন থেকে। বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদের বেশির ভাগ সদস্য সমাজ সেবায় নিবেদিত প্রান সচেতন নাগরিক, ডাঃ, ইঞ্জিনিয়ার, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি, লেখক, গবেষক, সংগঠক ও সমাজ সেবক ।
প্রিয় পাঠক,
আমাদের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব রয়েছে সমাজের অবহেলিত মানুষের পাঁশে দাঁড়ানো তাদের সচেতন করা । আসুন আপনার এলাকায় একটি বাংলাদেশ জাতির পিতা পরিষদ গঠন করি সমাজের সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করি।
যে কোন বিষয়ে জানার জন্য ভিজিট করুনঃ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন