মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ , এক সময় জামাতিরা জিন্নাকেই জাতির পিতা মানতেন । পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়াতে জাতির পিতা হলেন ড. সূকর্ণ সাহেব। ইরানের মত এত বড় ধর্মীয় অনুশাসনের দেশেও জাতির পিতা আছেন,আর তিনি হলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয়নেতা হযরত আল্লামা আয়াতুল্লাহ খোমেনী (রহঃ)। তিনি হাদিস কোরআনে প্রচুর ধারণা রাখতেন। সৌদি আরবের জাতির পিতা ইবনে সৌদ। মালায়েশিয়ার জাতির পিতা টুংকু আব্দুল রহমান -সেখানে কোন ধর্মীয় বিরোধ নেই জাতিরপিতা মানার ক্ষেত্রে। মুসলিম দেশ তুর্কিস্থান,সেখানে জাতির পিতা আতাতুর্ক কামালপাশা। ফিলিস্তিন, যে দেশ ইহুদি দ্বারা আক্রান্ত , সে দেশের জাতির পিতা হলেন ইয়াসির আরাফাত। সংযুক্ত আরব আমিরাতে শেখ যায়েদ বীন সুলতান নাহিয়্যান ,আফগানিস্তানে মুহাম্মাদ জহীর শাহ্ । ঠিক এভাবেই আরও অনেক মুসলিম দেশেই জাতির পিতা আছে, মানা হয়। অন্যান্য মুসলিম দেশের মতই আমাদের দেশেরজাতির পিতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমান। এতে কোন ভাবেই ধর্মীয় বিরোধ নেই।
আসুন ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখা যাক,বঙ্গবন্ধুকে বাঙ্গালি জাতির পিতা বললে ক্ষতি আছে কি’ না?
আল্লাহ তা’লা বলেছে-(মিল্লাতা আবীকুম ইব্রা-হীম; হুওয়া ছাম্মা-কুমুল মুছলিমীনা ) অর্থ, ইহা তোমাদের পিতা ইব্রাহিমের জাতি; তিনি তোমাদিগের মুসলমান নাম দিয়েছেন - আল (কুরআন, সুরা আল হজ্ব আয়াত -৭৮)
এখানে উল্লেখ্য যে, দ্বীন দ্বারা ধর্মকে বুঝায়।তাই এখানে ইব্রাহীম(আঃ) এর সাথে পিতা,ধর্ম, এবং মুসলিম । এই তিনটি শব্দ স্পষ্ট উল্লেখ আছে। যার অর্থ দাঁড়ায় মুসলিম ধর্মের জাতির পিতা। আল্লাহ তা’লা মহাজ্ঞানী; তিনি ভাল ভাবেই জানেন জাতি কোন একক বিষয় নয় তাই তিনি ’মুসলিমীন’ কথা উল্লেখ করে জাতিগত বিভেদ দূর করেছেন । তাই এই নিয়ে বিতর্কের কোন স্থান নেই। আমাদের মধ্যে যদি কেউ বঙ্গবন্ধূকে এই বলে জাতিরপিতা বলতে অস্বীকার করে যে’ইব্রাহীম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নয়।’ সে মূলত না বুঝেই এ কথা বলল। এবং কোরআনেরসঠিক ব্যাখ্যা বুঝল না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন